শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছে, যার মূল লক্ষ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং রাষ্ট্রের পুনর্গঠন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আর আখতার হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন সদস্য সচিব হিসেবে।
মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এর আগে এবি পার্টির সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের শাখায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। অপরদিকে আখতার হোসেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, পাশাপাশি তিনি ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক।
৫৫ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা এবং গণতান্ত্রিক চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে। কমিটির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন। তাঁর মাধ্যমে কমিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা আটটি মূলনীতি অনুসরণ করছে:
১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখা। ২. হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা। ৩. রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে সহযোগিতা। ৪. সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে গণমুখী আলোচনা। ৫. ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ৬. জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণে আলোচনা আয়োজন। ৭. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের নীতি প্রস্তাবনা তৈরি। ৮. গণভোটের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের আয়োজন।
কমিটির নেতারা দৃঢ়ভাবে বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানই বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার শক্তি। জাতীয় নাগরিক কমিটি এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: যুবককে কুপিয়ে হত্যা: বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা